ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ফুলকপির আরও যত উপকারিতা

শীতকাল এলেই বাজার ভরে ওঠে ফুলকপির সবুজ-সাদা উপস্থিতিতে।
  • | ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ফুলকপির আরও যত উপকারিতা ফুলকপির যত উপকারিতা

শীতকাল এলেই বাজার ভরে ওঠে ফুলকপির সবুজ-সাদা উপস্থিতিতে।স্বাদে ও পুষ্টিতে ভরপুর এই সবজি শুধু খাবার তালিকাকে সমৃদ্ধ করে না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও নিয়ে আসে অসাধারণ উপকার। চিকিৎসকদের মতে, ফুলকপি নিয়মিত খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।


ফুলকপি একটি পুষ্টিকর সবজি যা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে যে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়:


ক্যালরি: ২৫


ফাইবার: ২.৫ গ্রাম


ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ৭৭%


ফোলেট: ২০%


ভিটামিন কে: ১৫%


পটাসিয়াম: ৩০০ মিগ্রা


অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: গ্লুকোসিনোলেটস ও সালফোরাফেন


ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার।


স্বাস্থ্য উপকারিতা


১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ফুলকপির উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা-কাশির মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।


২. হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়: ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন নামক যৌগ ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।


৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: ফুলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটস ও সালফোরাফেনের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ঠেকাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি ফুসফুস, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।


৪. হজমশক্তি বাড়ায়: ফাইবারসমৃদ্ধ এই সবজি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।


৫. ওজন কমাতে সহায়ক: ক্যালরির পরিমাণ কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় ফুলকপি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এটি ওজন কমানোর ডায়েটে রাখার জন্য আদর্শ।


৬. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং বয়সের ছাপ কমায়।


চিকিৎসকরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন ফুলকপি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। তবে যারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ফুলকপি সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে থাকা কিছু যৌগ কাঁচা অবস্থায় থাইরয়েডের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।


শীতকালীন ফুলকপি শুধু সুস্বাদু একটি সবজি নয়, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এটি খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায়।