বাঁধাকপি আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি।এটি কেবল স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও অত্যন্ত উপকারী।তবে অতিরিক্ত বাঁধাকপি খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। থাইরয়েড সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাঁধাকপি খাওয়া উচিত।
বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ
১. ক্যালোরি কম, পুষ্টি বেশি: বাঁধাকপিতে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে।
২. উচ্চ মাত্রার ফাইবার: বাঁধাকপিতে থাকা ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য দারুণ উপকারী। এটি হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৩. ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ: বাঁধাকপিতে ভিটামিন সি, কে, বি৬ এবং ফলিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও এতে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, এবং আয়রন রয়েছে।
৪. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস: বাঁধাকপিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন পলিফেনল ও সালফার যৌগ রয়েছে, যা দেহ থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে। এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়ক।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা
বাঁধাকপিতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
বাঁধাকপির ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।
বাঁধাকপির স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে পুষ্টিবিদ ডা. আফরিন রহমান বলেছেন, বাঁধাকপি একটি চমৎকার কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ সবজি। এটি ওজন কমাতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন সি এর উচ্চমাত্রা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পুষ্টিবিদ তানজিনা আক্তার বলেন, বাঁধাকপিতে ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে, যা প্রদাহ কমায় এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের খাদ্যতালিকায় বাঁধাকপি রাখা উচিত।
ডা. হোসনে আরা বেগম বলেন, বাঁধাকপির ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তবে যারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বাঁধাকপি খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
বাঁধাকপি কেন খাবেন?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখা
হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো
পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি
ওজন নিয়ন্ত্রণ