ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নাক ডাকা বন্ধের ৫ উপায়

নাক ডাকা অবরুদ্ধ শ্বাসনালী, স্থূলত্ব, ঘুম হানি এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কারণের জন্য হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।
  • | ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
নাক ডাকা বন্ধের ৫ উপায় বিশেষ টিপস আর ঘরোয়া উপায়ে নাক ডাকা সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

আপনি যখনই ঘুমানোর চেষ্টা করছেন তখনই নাক ডাকা একটি সমস্যা হয়ে উঠছে? নাক ডাকা স্বাভাবিক। তবে আপনার নাক ডাকার শব্দ শুনে অন্য কেউ জেগে গেলে তা ভয়াবহ। এটি ঘুমকে ব্যাহত করে। এমনকি অনিদ্রাও হতে পারে। নাক ডাকা অবরুদ্ধ শ্বাসনালী, স্থূলত্ব, ঘুম হানি এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি কারণের জন্য হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে।


গরম পানির ভাপ


নাক ডাকার অন্যতম প্রধান কারণ রক্ত জমাট। অনেক সময় আমাদের নাসিকা পথে রক্ত জমাট বেধে থাকে। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার সৃষ্টি করে। তাই ঘুমানোর আগে গরম পানির ভাপ নিন। এটি আপনার শ্বাস নেওয়ার প্রকিয়াকে সহজ করে তোলে।


এক পাশ হয়ে ঘুমান


আপনি যদি পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমান, তবে এটি নাক ডাকার কারণ হতে পারে। পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমানোর ফলে জিহ্বা গলার পিছনে চলে যেতে পারে। এর ফলে গলার মাধ্যমে বায়ু প্রবাহকে বাধা দেয়। এক পাশ হয় ঘুমালে বাতাস সহজে চলাচল করে। আপনার নাক ডাকা কমে যাবে।


বিছানার মাথা উঁচু রাখুন


নাক ডাকার জন্য সবচেয়ে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি হল বিছানা থেকে মাথাকে কয়েক ইঞ্চি উঁচু রাখা। শরীর থেকে মাথা উঁচুতে থাকলে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। তাই মাথার নিচে দুইটি বালিশ নিন। নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যাবে।


ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন


অ্যালকোহল পান করা নাক ডাকার পিছনে অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল গলার পেশীগুলি শিথিল করে।  যার ফলে নাক ডাকা শুরু হয়। তাই ঘুমানোর আগে এটি পান করা থেকে বিরত থাকুন।


ঘুমানোর আগে হলুদ দুধ পান করুন


হলুদ, নাক ডাকা প্রতিকারের জন্য একটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার। হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক এবং এন্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যে ভরপুর।  যা প্রদাহ এবং নাক ডাকা নিরাময়ে সহায়তা করে। এক গ্লাস গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। এটি নাক ডাকা বন্ধে বেশ কার্যকর।


thebgbd.com/NIT