পালংশাকের জুস হল একটি পুষ্টিকর পানীয় যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পালংশাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ভিটামিন এবং মিনারেলের সমৃদ্ধ উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পালংশাকের জুস পান করলে শরীরের বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়।
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: পালংশাকের জুসে ক্যালোরির মাত্রা কম এবং ফাইবার বেশি থাকে, যা ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সহায়ক। এটি মেটাবলিজম বাড়িয়ে দ্রুত ক্যালোরি বার্নে সহায়তা করে।
২. ডিটক্সিফিকেশন: পালংশাকের জুস লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্লোরোফিল রক্ত পরিশোধনে সহায়ক।
৩. ত্বকের যত্নে:পালংশাকের জুসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
৪. আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস:পালংশাক আয়রনের চমৎকার উৎস, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকর। এটি বিশেষ করে মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৫. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা: পালংশাকের জুসে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সহায়ক এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
৬. শক্তি বৃদ্ধি: পালংশাকের জুস একটি প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার। এতে থাকা আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরকে সজীব ও কর্মক্ষম রাখে।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পালংশাকের জুসে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ফ্লু এবং ঠান্ডার মতো রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
পালংশাকের জুস তৈরির উপায়
উপকরণ
এক মুঠো তাজা পালংশাক
আধা লেবুর রস
এক গ্লাস পানি
এক চিমটি লবণ (ঐচ্ছিক)
প্রস্তুত প্রণালী
১. পালংশাক ধুয়ে নিন।
২. ব্লেন্ডারে পালংশাক, পানি এবং লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করুন।
৩. মিশ্রণটি ছেঁকে নিন এবং প্রয়োজনমতো লবণ যোগ করুন।
৪. তাজা পান করুন।
পালংশাকের জুস খালি পেটে পান করলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। যারা কিডনির সমস্যা বা ইউরিক অ্যাসিডজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের পালংশাকের জুস গ্রহণের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। জুসে চিনি বা প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি যোগ এড়িয়ে চলুন।