বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। দূষিত বাতাসে দীর্ঘসময় থাকার ফলে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
তবে কিছু কার্যকর পদ্ধতি মেনে চললে ফুসফুসকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
১. ঘরে পরিষ্কার বাতাস নিশ্চিত করুন: ঘরের ভেতরে বায়ুদূষণ এড়াতে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ঘরে গাছপালা রাখতে পারেন, যা বায়ু শুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে বাতাসের আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
২. মাস্ক ব্যবহার করুন: বাইরে গেলে এন৯৫ বা সমমানের ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। এটি দূষিত বাতাস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
৩. সকালে ঘরের বাইরে ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন: শীতকালে সকালের দিকে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকে। এই সময় বাইরে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। ঘরে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
৪. সুষম খাবার খান: ফুসফুস সুস্থ রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। শীতের শাকসবজি, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, হলুদ, আদা, রসুন ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: শীতকালে শরীর হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে ফুসফুস ভালো থাকে।
৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকুন: ধূমপান ফুসফুসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি এড়িয়ে চলুন এবং দূষিত পরিবেশে ধূমপায়ীদের কাছাকাছি থাকাও এড়ানোর চেষ্টা করুন।
৭. বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ করুন: বাইরের বায়ুর মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) পর্যবেক্ষণ করুন। দূষণের মাত্রা বেশি থাকলে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন।
৮. স্টিম থেরাপি নিন: নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিন। এটি ফুসফুসের জমে থাকা ময়লা বা মিউকাস পরিষ্কার করে।
৯. ফুসফুস পরিষ্কার রাখার ব্যায়াম করুন: শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম যেমন প্রণায়াম, গভীর শ্বাস নেওয়ার অনুশীলন ফুসফুসকে শক্তিশালী রাখে।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমস্যা থাকলে শীতকালে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনহেলার ব্যবহার করুন।
বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গেলে শিশু ও প্রবীণদের ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। সচেতনতা এবং নিয়মিত যত্নই ফুসফুস ভালো রাখার মূল চাবিকাঠি।