দাম্পত্য জীবন ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তবে কিছু অভ্যাস সম্পর্কে অবহেলা করলে এটি সম্পর্কের মধ্যে বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে।
অতিরিক্ত সমালোচনা করা: অতিরিক্ত সমালোচনা একজন সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ছোটখাটো বিষয়েও বারবার সমালোচনা করলে সঙ্গীর মধ্যে হতাশা তৈরি হয় এবং সম্পর্কের মধুরতা নষ্ট হতে থাকে।
২. তুলনা করা: সঙ্গীকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করা দাম্পত্য জীবনের জন্য বিষের মতো। এটি সঙ্গীর আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ করে এবং দ্বন্দ্বের সূচনা করে। প্রতিটি মানুষ অনন্য, এবং এই বিষয়টি সঙ্গীকে বোঝাতে হবে।
৩. যোগাযোগের অভাব: খোলামেলা আলোচনা এবং সঠিক যোগাযোগের অভাবে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। সঙ্গীর অনুভূতি বোঝা এবং তার সঙ্গে নিয়মিত কথা বলার অভ্যাস না থাকলে সম্পর্ক দূরত্বের শিকার হয়।
৪. অবহেলা বা গুরুত্ব না দেওয়া: যেকোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারস্পরিক যত্ন ও গুরুত্ব অপরিহার্য। সঙ্গীর প্রতি অবহেলা করলে ধীরে ধীরে সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যেতে পারে।
৫. রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা: দাম্পত্য জীবনে রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটি বড় ধরনের ঝগড়া বা দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। সহনশীল এবং ধৈর্যশীল আচরণ সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
৬. আর্থিক অসচেতনতা: অযথা অর্থ ব্যয় করা বা আর্থিক পরিকল্পনায় একমত না হওয়া দাম্পত্য জীবনে চাপ সৃষ্টি করে। আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া গুরুত্বপূর্ণ।
৭. অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার: সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর পরিবর্তে যদি কেউ মোবাইল ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত থাকে, তবে তা সম্পর্কে বিরক্তি ও একঘেয়েমি আনতে পারে।
৮. বিশ্বাসভঙ্গ বা মিথ্যা বলা: বিশ্বাস দাম্পত্য জীবনের মূল ভিত্তি। মিথ্যা বলা বা প্রতারণা সঙ্গীর বিশ্বাস ভাঙার পাশাপাশি সম্পর্ককে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
৯. সঙ্গীর প্রয়োজন ও অনুভূতির প্রতি উদাসীনতা: সঙ্গীর চাহিদা ও অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেওয়া সম্পর্ককে দূরত্বের দিকে নিয়ে যায়। ভালোবাসা এবং যত্নের প্রকাশ সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
১০. ব্যক্তিগত সময় না দেওয়া: যদিও দাম্পত্য জীবনে একসঙ্গে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সময় ও স্বাধীনতাও জরুরি। তা না হলে একঘেয়েমি এবং চাপ তৈরি হতে পারে।
দাম্পত্য জীবনে এই অভ্যাসগুলো এড়িয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বজায় রাখতে হবে। সঙ্গীর প্রতি খেয়াল রাখা, সৎ থাকা, এবং সময়মতো সমস্যাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করার অভ্যাস গড়ে তুললে সম্পর্ক সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।