ঢাকা | বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় দ. কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল

শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনপ্রণেতা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
  • | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় দ. কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ চলছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রধান দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর তিনি বলেছেন, এখনো ‘ভয়ংকর ঝুঁকি’ আছে, কারণ প্রেসিডেন্ট আবার বেসামরিক শাসনকেও ধ্বংস করতে পারেন। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হান ডং-হুন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইওল দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।


সিউল থেকে এএফপির খবরে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টি প্রধান ডং-হুন আরও বলেছেন, শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনপ্রণেতা সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।


তবে, বৃহস্পতিবার হান যে কথা বলেন, তা থেকে সরে এসে এখন পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন। সেদিন তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে  আমরা তার পক্ষে অবস্থান নেব। এছাড়া আরো একজন নেতা বলেন, শনিবারের ভোটাভুটিতে ইওলের পক্ষ নিতে ১০৮ জন সদস্য প্রস্তুত আছে।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ইওল জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। কিন্তু ,তার এই ঘোষণার পরপরই প্রধান বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণ পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে রাখে। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক লিবারেল পার্টি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তার প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করলে স্পিকার ভোটাভুটির আয়োজন করেন এবং প্রেসিডেন্টের এই প্রচেষ্টাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট সামরিক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।


উল্লেখ্য, সামরিক আইন জারির কারণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইওল বলেছেন, সংসদে উত্তর কোরীয় পন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তিনি কোনো আইনই পাস করতে পারছিলেন না। সংসদের ৩০০ আসনেরে মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আসন সংখ্যা ১৭০টি।


যদি অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয় হয়ে যায়, তবে সাংবিধানিক আদালতের রায়ের জন্য তা অপেক্ষমাণ থাকবে। এরপর যদি বিচারকরা রায় দেন, তখন ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসন কার্যকর হবে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


এসজেড