বিদ্রোহীদের নতুন হামলার মুখে হঠাৎই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিরিয়ার পরিস্থিতি। দেশটির অন্যতম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর একের পর এক আরো বড় শহর হারাচ্ছে বাশার আল আসাদ সরকার। এমন আবহে দ্রুত নিজ দেশের নাগরিকদের সিরিয়া ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বাশার সরকারের ঘনিষ্ট মিত্র রাশিয়া। এরই মধ্যে ইরান তাদের সিনিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিয়ে গেছে। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামপন্থি দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই দুটি বড় নগরী- আলেপ্পো ও হামা দখলের পর এখন হোমস নগরীর দিকে এগিয়েছে। সেখানে বড় ধরনের লড়াইয়ের আশঙ্কায় লোকজন এরই মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে।
বিদ্রোহীদের এই অগ্রযাত্রায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এবং তার একনিষ্ঠ সমর্থক রাশিয়া ও ইরানের জন্য ঝুঁকি বেড়েছে। এরইমধ্যে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার, কয়েকজন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের সরিয়ে নিচ্ছে ইরান।
ইরানের মতো একই পথে হাঁটছে মিত্র রাশিয়াও। সিরিয়ার রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, সিরিয়ার কঠিন সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে, দামেস্কে রাশিয়ার দূতাবাস সিরিয়ায় বসবাসরত রুশ নাগরিকদের অপারেটিং বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত বিবৃতিতে, কূটনৈতিক মিশন সপ্তাহব্যাপী লড়াইকে সিরিয়ায় একটি কঠিন সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি হিসাবে বর্ণনা করেছে। মস্কো টাইমস জানিয়েছে, বিদ্রোহী জোট রাশিয়া এবং ইরান-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার জন্য ২৭ নভেম্বর উত্তর সিরিয়ায় আক্রমণ শুরু করে।
দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকায় শেষ পর্যন্ত ইরান এবং রাশিয়ার ভূমিকা সিরিয়ায় কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। বাশার আল আসাদ সরকারের শেষ পর্যন্ত পতন হলে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধাক্কা খাবে ইরান ও রাশিয়া। বিশেষ করে তেহরানের জন্য অভাবনীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এসজেড