ঢাকা | বঙ্গাব্দ

শীতকালে হাঁপানি থেকে দূরে থাকার উপায়

শীতকাল হাঁপানির রোগীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
  • | ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
শীতকালে হাঁপানি থেকে দূরে থাকার উপায় হাঁপানি থেকে দূরে থাকার উপায়

শীতকাল হাঁপানির রোগীদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।ঠান্ডা আবহাওয়া, শুষ্ক বাতাস, এবং ধুলোবালি হাঁপানির উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে সচেতনতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনায় শীতকালে হাঁপানির ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।


১. শীত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন: ঠান্ডা বাতাস সরাসরি শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে হাঁপানি বাড়তে পারে। শীতের পোশাক যথাযথভাবে ব্যবহার করুন। গরম কাপড় দিয়ে গলা ও বুক ঢেকে রাখুন।


২. ঘরের পরিবেশ সঠিক রাখুন: শীতকালে ঘরের পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায়, যা হাঁপানি বাড়াতে পারে। তাই ঘর উষ্ণ রাখার জন্য হিটার ব্যবহার করলে আর্দ্রতা বজায় রাখতে একটি পাত্রে পানি রাখুন।ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং ধুলোবালি মুক্ত রাখুন। পোষা প্রাণী থাকলে তাদের লোম এবং ধুলো থেকে দূরে থাকুন।


৩. হাঁপানির ওষুধ ও ইনহেলার নিয়মিত ব্যবহার করুন: হাঁপানির নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও ইনহেলার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শে প্রেসক্রাইবড ইনহেলার নিয়মিত ব্যবহার করুন। উপসর্গ বেড়ে গেলে রিলিভার ইনহেলার সঙ্গে রাখুন। হাঁপানির ওষুধ বা ইনহেলার ঠিকভাবে ব্যবহার করছেন কি না তা নিশ্চিত করুন।


৪. ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করুন: শীতকালে ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশি হাঁপানি বাড়ানোর প্রধান কারণ হতে পারে। ঠান্ডা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।


৫. খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অবলম্বন করুন: সঠিক খাদ্যাভ্যাস হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। শীতের মৌসুমি সবজি ও ফলমূল, বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। গরম পানীয়, যেমন লেবু চা বা আদা চা, শ্বাসতন্ত্রকে শীতলতা থেকে সুরক্ষিত রাখে।


৬. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন: শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম শ্বাসতন্ত্রকে উন্মুক্ত রাখতে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রোনিং বা শ্বাস প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যায়াম করতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট ব্যায়াম বা ইয়োগা চর্চা করুন।


৭. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ হাঁপানির উপসর্গ বাড়াতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। নিয়মিত ধ্যান বা রিলাক্সেশন টেকনিক চর্চা করুন।


হাঁপানির কারণে মানসিক চাপ অনুভব করলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।