ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদ পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেওয়ার পর ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
আগামী বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এ লংমার্চ শুরু করবেন নেতাকর্মীরা। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও উস্কানিমুলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে যৌথ এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না জানান, বুধবার নয়াপল্টন থেকে যৌথ লংমার্চ করবেন ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গন্তব্য হবে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত।
এ সময় মোনায়েম মুন্না বলেন, হাইকমিশনে সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা ভারত সরকারের মৌন সমর্থনই। কিছু মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কূটনীতিক মিশনে সহিংস হামলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর আঘাতের শামিল।
ভারত এখন ক্রিমিনালদের আশ্রয়কেন্দ্র ও অভায়রণ্য হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘দেশটি ক্রমাগত ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত গুজব সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনার গণহত্যার শিকার হয়েছেন অনেক সনাতন। কিন্তু তখন ভারত নীরব ছিল।’
এ সময় তিনি যোগ করেন ‘শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করছে। ভারতের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার। ১১ ডিসেম্বর ঢাকা টু আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হবে। ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্তে সোচ্চার থাকবো’।
এর আগে গতকাল রোববার (৮ ডিসেম্বর) দিল্লির অপপ্রচার বন্ধের দাবিতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করেছে বিএনপির এই তিন অঙ্গ সংগঠন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
রামপুরায় পুলিশ অনুরোধ জানালে পদযাত্রা শেষ করে হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেন নেতারা। ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে তারা কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
thebgbd.com/NA