শীতের সময় ইবাদতের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি হয়, তবে শীতের তীব্র ঠান্ডা অনেকের জন্য ইবাদতে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোরআন এবং হাদিসে শীতের ইবাদত সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ঠান্ডা পরিবেশে ইবাদতের কিছু বাড়তি ফজিলতও উল্লেখ করা হয়েছে।
কোরআন মাজিদে ইবাদতের সময় ও গুরুত্ব নিয়ে একাধিক আয়াত এসেছে। বিশেষত, নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের ওপর নির্ধারিত সময়ে ফরজ করা হয়েছে। (সূরা আন-নিসা: ১০৩)।
শীতকাল দীর্ঘ রাতের কারণে তাহাজ্জুদ, নফল নামাজ এবং বেশি বেশি ইবাদতের জন্য সহজ সময় সৃষ্টি করে।
আল্লাহ আরও বলেন, তারা রাতে খুব কমই ঘুমাত এবং শেষ রাতে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত (সূরা আয-জারিয়াত: ১৭-১৮)।
দীর্ঘ রাত শীতকালে ইবাদতের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ প্রদান করে।
হাদিসে শীতের ইবাদতকে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শীতকাল মুমিনের জন্য বসন্তের মতো, কারণ এ সময়ে দিনে রোজা রাখা সহজ এবং রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ। (মুসনাদে আহমদ: ১৮৯৭৩)
একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঠান্ডা আবহাওয়ায় ওজু করার কষ্টের মধ্যেও অনেক সওয়াব রয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ৫৫১)
শীতের ইবাদতের ফজিলত
১. দীর্ঘ রাত ইবাদতের জন্য সহজতর: শীতের রাতে ঘুমের সময় বেশি থাকায় তাহাজ্জুদ ও দীর্ঘ নফল ইবাদতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
২. ওজুর মাধ্যমে পাপ মোচন: হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ওজুর মাধ্যমে শীতের কষ্ট সহ্য করে, তার জন্য পাপ ক্ষমা করা হয় এবং জান্নাতের পথ সহজ হয়।
৩. সাওয়াব বৃদ্ধি: শীতের কষ্ট সহ্য করে ইবাদতে আত্মনিয়োগ করলে আল্লাহর নিকট এর পুরস্কার বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
শীতকাল শুধু প্রাকৃতিক পরিবর্তনের একটি অংশ নয়, বরং এটি মুমিনদের জন্য ইবাদতের এক বিশেষ সুযোগ। শীতের তীব্র ঠান্ডা ইবাদতে কিছু কষ্ট তৈরি করলেও এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে অপরিসীম সওয়াব এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সুযোগ। তাই শীতের এই সময়টিকে ইবাদতের মাধ্যমে সেরা ব্যবহার করা উচিত।
thebgbd.com/AR