ঢাকা | বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার নৌবাহিনীর ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা

হামলা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে অস্ত্র গুদাম, গোলাবারুদ ডিপো এবং যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার যোগ্য ‘কয়েক ডজন’ ক্ষেপনাস্ত্র।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
সিরিয়ার নৌবাহিনীর ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা হামলার পর ডুবে যাওয়া জাহাজ

ইসরায়েল জানিয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির সামরিক শক্তিকে ‘নষ্ট’ করার অংশ হিসেবে তারা সিরিয়ার নৌ বহরে হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তাদের যুদ্ধজাহাজ সোমবার রাতে আল-বায়দা এবং লাতাকিয়া বন্দরে আঘাত হেনেছে। সে সময় বন্দরে অন্তত ১৫টি জাহাজ ছিল। লাতাকিয়া বন্দরের বিস্ফোরণের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিবিসি কর্তৃপক্ষ যাচাই করে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্জিত হয়েছে। ছবি ও ফুটেজে জাহাজ এবং বন্দরের কিছু অংশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে। 


আইডিএফ আরও বলেছে, তাদের স্থলবাহিনী সিরিয়া এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির মধ্যবর্তী ‘সেনামুক্ত’ বাফার জোনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময়ে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি সিরিয়া জুড়ে চিহ্নিত লক্ষ্যবস্তুতে ৩৫০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে।


এক বিবৃতিতে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, আইডিএফের লক্ষ্য ছিল ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ সবকিছু ধ্বংস করা’। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার নৌবহর ধ্বংস করার অভিযান একটি ‘মহান সাফল্য’। আইডিএফ বলেছে, বিস্তৃত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমানঘাটি, সামরিক যান, বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র এবং অস্ত্র উৎপাদনের স্থানগুলো। হামলাগুলো করা হয় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ হোমস, টারতুস এবং পালমিরায়।


এছাড়া হামলা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে অস্ত্র গুদাম, গোলাবারুদ ডিপো এবং যুদ্ধজাহাজে ব্যবহার যোগ্য ‘কয়েক ডজন’ ক্ষেপনাস্ত্র। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জঙ্গিদের হাতে যাওয়া থেকে’ বিরত রাখতেই এই হামলা করে সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। 


সূত্র: বিবিসি


এসজেড