আজ ১২ ডিসেম্বর (১২ ডিসেম্বর) নিপীড়িত মানুষের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এ দিনটি উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা তার আদর্শকে স্মরণ করে অধিকারবঞ্চিত মানুষের জন্য তার নিরলস সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেছেন।
অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত, ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম। জাতীয় সংকটে তিনি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সংগঠিত করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।
ক্ষমতার কেন্দ্রে থেকেও মওলানা ভাসানী কখনো ক্ষমতার মোহে আবিষ্ট হননি। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি সর্বদা জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার নির্মোহ, সাদাসিধে জীবনযাপন ছিল এ দেশের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার প্রতীক।
মওলানা ভাসানী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি নিরন্তর সংগ্রাম করেছেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে।
মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ আজও প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে আছে। শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
thebgbd.com/NIT