আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৬ শতাংশ।
এদিন ভোরে তীব্র কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় গোপালগঞ্জে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, তীব্র শীত আর গরম কাপড়ের অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। কাজে বের হতে পারছেন না তারা। তবে অনেকেই টুপি, মাফলার ও চাদর মুড়ি দিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন।
দেখা গেছে, ভোরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আর অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভিড় করছেন হাসপাতালগুলোতে। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিলে ৯৬ শতাংশ। গতকাল সর্বোচ্চ ছিল ২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় এবং উত্তরের মৃদু হিমেল হওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে তুলছে। আগামী তিন দিনে এই তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
thebgbd.com/AR