কবি হেলাল হাফিজকে মরণোত্তর একুশে পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়া যায় কি,-না, সে জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যা যা করার আছে, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সদ্য প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ফারুকী।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমসহ অন্যরা। জানাজা শেষে প্রয়াত হেলাল হাফিজের প্রতি বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কবি হেলাল হাফিজ।
তার জানাজা শেষে বাংলা একাডেমিতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, কবি হেলাল হাফিজের খুব বেশি বই বের হয়নি। কিন্তু তারুণ্য ও যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে। এটি তার অর্জন। হেলাল হাফিজ তার কবিতাতেই বেঁচে থাকবেন। কবি বেঁচে থাকেন তার কবিতায়। তার কবিতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কী কী দায়িত্ব আছে, কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে কী কী করা যায়, কী করণীয় আছে, তা নিয়ে কাজ করা হবে। এসময় তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা দ্রুত কিছু শুনবেন।’
তিনি আরও বলেন, কবি হেলাল হাফিজের অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি থাকলে বাংলা একাডেমি তা বের করবে। আরেকটি জিনিস, যদিও আমি মনে করি, কবিরা কখনো কোনো পদক বা পুরস্কারের জন্য কিছু লিখেন না। কিন্তু পুরস্কার দিতে হয় তাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। হেলাল হাফিজকে তো আমরা একুশে পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার কখনোই দিইনি। উনি এটি পাওয়ার জন্য লেখেনওনি। কিন্তু এটি দেওয়াটা জাতির দায়িত্ব ছিল। কিন্তু উনাকে দেওয়া হয়নি।
thebgbd.com/NA