বিতর্কিত সংসদে মিখেইল কাভেলাশভিলিকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেওয়াতে জর্জিয়াতে দুই সপ্তাহেরও বেশি চলা ইউ-পন্থী বিক্ষোভ আরও বেগবান হয়েছে যা এরই মধ্যে দেশটির প্রধান শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫৩ বছর বয়সী ম্যানচেস্টার সিটির একজন সাবেক ফুটবলার মিখেইল জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির সাবেক এমপি এবং প্রেসিডেন্ট পদের জন্য একমাত্র পার্থী ছিলেন।
শনিবার, জর্জিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের ২২৫ সদস্যের মধ্যে ২২৪ জন তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। চারটি প্রধান বিরোধী দল এই ভোট প্রত্যাখ্যান এবং অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সংসদ বর্জন করে। এদিকে হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রায় শনিবার সকাল থেকে ভোটের আগে সংসদের বাইরে প্রতিবাদ জানাতে প্রচুর বিক্ষোভকারী জমা হয়।
জর্জিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত সালোম জোরাবিচভিলি, অক্টোবরের নির্বাচনকে একটি প্রতারণা হিসাবে নিন্দা করে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি জর্জিয়ার একমাত্র অবশিষ্ট বৈধ ভিত্তি।
প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে জর্জিয়ার স্বার্থের ক্ষতি করার চেষ্টা করার জন্য সালোম জোরাবিচভিলিকে অভিযুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর তার পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে অবসর নিতেই হবে। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা খুব শক্তিশালী, তাই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের অবশ্যই কোনও সমস্যা হবে না।’
সংসদীয় সহকর্মী নিনো সিলোসানি সাংবাদিকদের বলেছেন, সালোম জৌরাবিচভিলি জনগণের চোখে আর রাষ্ট্রপতি নন। জর্জিয়া একটি সংসদীয় গণতন্ত্র যেখানে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী সংসদের প্রধান।
জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধেদেশটির জগণের প্রতিবাদ অক্টোবরের নির্বাচনের পরপরই শুরু হয়। কিন্তু ২৮ নভেম্বর যখন সরকার ঘোষণা করে, এটি ২০২৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনা স্থগিত রেখেছে তখন সেটি আরও বেগবান হয়ে ওঠে। জর্জিয়ার জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সংবিধান সমর্থণ করে এবং অংশ হতে চায়। এরপরের প্রতি রাতে পার্লামেন্টের বাইরের প্রধান রাস্তাটি নতুন নির্বাচনের দাবিতে ইইউ পতাকাতে হাতে বিক্ষোভকারীদের ভরে উঠে।
ভোটের আগের রাতে রাজধানী তিবিলিসি বিভিন্ন পেশাজীবী যেমন আইটি বিশেষজ্ঞ, পাবলিক সেক্টরের কর্মী, সৃজনশীল শিল্পি পেশাদার অভিনেতা এবং আইনজীবীদের বিক্ষোভে কেপে উঠে। ৪৭ বছর বয়সী আইনজীবী ডেভিট কিকালিশভিলি বলেছেন, ‘সংবিধান এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি যাতে একটি আইনি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারি।’