ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) স্থানান্তরের অভিযোগ তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন। রিটে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, যেখানে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অর্থ পাচারের এই ঘটনা মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
এই বিষয়ে তদন্ত ও দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আগামী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
thebgbd.com/NIT