ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আদালতে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিচার শুরু

ইউনকে অপসারণ বা তাকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিতে আদালতের কাছে এখন ছয় মাস সময় রয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
আদালতে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিচার শুরু ইউন সুক-ইওল

সামরিক আইন ঘোষণা এবং এর মধ্যদিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশকে চরম বিশৃঙ্খলার মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের বিচার শুরু হয়েছে। দেশজুরে ব্যাপক বিক্ষোভের পর এমপিরা শনিবার ইউনের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন।


ইউনকে অপসারণ বা তাকে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিতে আদালতের কাছে এখন ছয় মাস সময় রয়েছে। যদিও ইউনের অভিশংসনের বিচারের জন্য গণশুনানি কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদালত যথেষ্ঠ চাপের মধ্যে রয়েছে। আদালতের কার্যক্রম চলাকালীন পুরোটা সময় ইউনের অপসারণের জন্য তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।


এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হয়েছেন, যার মধ্যে আদালত একটি সিদ্ধান্তকে প্রত্যাহার করে এবং অপরটিকে বহাল রাখে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, একটি বিষয় ইউনের বিচারকে কিছুটা হলেও জটিল করে তুলবে তা হল আদালতে বর্তমানে নয়জনের মধ্যে মাত্র ছয়জন বিচারপতি কর্মরত রয়েছেন। তিনজন সম্প্রতি অবসর নিয়েছেন এবং এখনও তাদের বদলি নিয়োগ করা হয়নি।


যদি আদালত ইউনের মামলায় অভিশংসন বহাল রাখে, তাহলে দেশটিকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আদালতে শুনানিতে ইউন নিজেই স্বপক্ষে বলবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। রোববার সিউলে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার নির্ধারিত সময় তিনি উপেক্ষা করেছেন। চলতি সপ্তাহে তাকে আবারও এমন এটি সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তাতেও তিনি ব্যর্থ হলে বা জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। ইউন বারবার সামরিক আইন জারি করার তার সিদ্ধান্তের পেছনে জোর অবস্থান নিয়েছেন এবং অভিশংসনের পরেও বলেছেন শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন। 


সূত্র: রয়টার্স


এসজেড