দোয়াগুলো মন থেকে বিশ্বাসের সঙ্গে পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবি হজরত আলী (রা.)-কে একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন, যা ঋণমুক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
দোয়া: ‘আল্লাহুম্মাক্ফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা, অগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিভাক।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আপনার হালাল রিজিক দিয়ে আমাকে পরিতৃপ্ত করুন, হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার অনুগ্রহে আমাকে কারো মুখাপেক্ষী না করুন। (তিরমিজি: ৩৫৬৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত আবু উমামা (রা.)-কে ঋণমুক্তির জন্য একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন।
দোয়া: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযনি, ওয়াউযুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসলি, ওয়াউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়াউযুবিকা মিন গালাবাতিদ্ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।’
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ-বেদনা ও দুশ্চিন্তা থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে এবং ঋণের ভার ও মানুষের জুলুম থেকে। (সহিহ বুখারি: ৬৩৬৯)
ঋণমুক্তি ও বরকতের জন্য আমল: প্রতিদিন নিম্নোক্ত আয়াত এবং দোয়া পাঠ করা যেতে পারে।
আয়াত: ‘রাব্বানাজ আল্লা তুজি কুলুবানা বা’দাই ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লা দুন্কা রহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।’ (সুরা আল ইমরান: ৮)
অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদের অন্তরগুলোকে সত্য পথপ্রাপ্ত হওয়ার পর ভ্রান্ত করো না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দাতা।
যিকির: প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন কাদির” পাঠ করুন। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
তাওবা ও ইস্তিগফার: ঋণমুক্তির জন্য নিয়মিত ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা অত্যন্ত কার্যকর।
ইস্তিগফার: ‘আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জানবিঃ ওয়া আতুবু ইলাইহি।’
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই সব পাপ থেকে এবং তাঁর দিকে ফিরে যাই।
ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত দোয়া, ইস্তিগফার এবং আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা জরুরি। পাশাপাশি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করতে হবে ঋণ পরিশোধের। আল্লাহ তাআলা সকলকে ঋণমুক্তি এবং বরকতময় জীবন দান করুন। আমিন।
thebgbd.com/AR