গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ। এ ঘটনায় তিনজন নিহত ও ২৬ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) এবং বগুড়া জেলার তাইদুল ইসলাম।
আহতেরা হলেন, খোরশেদ আলম ৫০, বেলাল ৩৪ কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার ৫০ নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর ৫৯ নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম ৫০,আনোয়ার ২৬ সাভার, আনোয়ার ৭৬ নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ ৩৫ সাতক্ষীরা, আঃরউফ (৫৫) বি বাড়িয়া, মজিবুর রহমান ৫৮ ময়মনসিংহ, আঃ হান্নান ৬০ গাজীপুর ঢাকা মেডিকেল, জহুরুল ইসলাম ৩৮ টঙ্গী, আরিফ ৩৪ গোপালগঞ্জ, ফয়সাল,সাভার, তরিকুল ৪২ নরসিংদী সাহেদ ৪৪ চট্রগ্রাম, উকিল মিয়া ৫৮ নরসিংদী, পান্ত ৫৫ টঙ্গী, খোরশেদ আলম ৫০, বেলাল ৩৪ কেরানীগঞ্জ, আনোয়ার ৫০ নারায়ণগঞ্জ, আবু বক্কর নারায়ণগঞ্জ, আরিফুল ইসলাম ৫০, আনোয়ার ২৬ সাভার, আনোয়ার ৭৬ নোয়াখালী সদর, ফোরকান আহমেদ ৩৫ সাতক্ষীরা ।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামার পাড়া ব্রীজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় ময়দানের ভেতর থেকে যোবায়ের পন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। এক পর্যাায়ে সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সাদপন্থীদের মুরুব্বী মুয়াজ বিন নূর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমরা এখন ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণে আছি। যোবায়ের পন্থীদের আক্রমণে আমাদের এক ভাই শহীদ হয়েছেন।
এদিকে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ফলে হতাহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম বলেন, নিহত ও আহতদের সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, টঙ্গীতে দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতদের হাসপাতালে আনা হয়।
thebgbd.com/NIT