উইসকনসিনের স্কুলের গুলির ঘটনার পেছনের কারণ সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনও উপসংহারে পৌঁছাতে পারেনি। তারা বলছে, এর পেছেনে ‘একাধিক কারণ’ থাকতে পারে। ম্যাডিসন পুলিশ প্রধান শোন বার্নস মঙ্গলবার শহরের অ্যাবন্ড্যান্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে গুলি চালানো ১৫ বছরে কিশোরী নাটালি রুপনোর সম্পর্কে তেমন কিছুই বলেননি।
সোমবারের গুলিবর্ষণের ঘটনায় দুজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন ছয়জন। এছাড়া নাটালিও আত্মঘাতী হন। সংবাদ সম্মেলেনে চিফ বার্নস নাটালিকে এমন যে কাওকে তথ্য দেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এখন, পেছনের উদ্দেশ্য চিহ্নিত করাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। যার সমন্নিত যোগফলেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে গেছে। যে কেউ তাকে চেনেন, সামনে থেকে জেনেছেন বা যাদের তার সঙ্গে মানসিক যোগাযোগ ছিল, তাকে বুঝতে পারতেন তাদের ম্যাডিসন-এরিয়া ক্রাইম স্টপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি।’
তদন্তের অংশ হিসেবে নাটালির সোশ্যাল মিডিয়াও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চিফ বার্নস বলেছেন, ঘটনার পেছনে ‘বুলিং’ আছে কী না বোঝার জন্য তদন্তকারীরা অ্যাবন্ডেন্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলছেন।
সোমবার রাত থেকে আহতদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুইজনের আঘাত বেশ গুরুতর এবং দুইজন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। বাকি দুজন চিকিৎসার পর হাসপাতাল ছেড়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজন হলেন এক কিশোরী শিক্ষার্থি এবং একজন শিক্ষিকা। কর্তৃপক্ষ তাদের নাম প্রকাশ করেনি। শহরের মেয়র সত্য রোডস-কনওয়ে বলেছেন, সময় হলে কর্মকর্তারা তথ্য জানাবেন।
মঙ্গলবার চিফ বার্নস আরও স্পষ্ট করেছেন, পূর্বে বলা গুলিবর্ষণের কথা দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থির কাছ থেকে নয় বরং দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষকের কাছ থেকে এসেছে। তিনি ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং বলেছেন, একটি পুলিশ লগে ভুল লেখার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় এমন অনেক স্কুলে ‘হুমকি’ মূলক ফোন আসে। তবে পুলিশ বিশ্বাস করে না যে এই স্কুলগুলিতে বর্তমানে কোনও হুমকি রয়েছে।