ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে দুদক। কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক তার, তার স্ত্রী-সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি গুম-খুনের ‘মাস্টারমাইন্ড’, ফোনে আড়ি পাতা এবং ব্যক্তিগত আলাপ ফাঁস করার কাজে জড়িত ছিলেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশন তদন্ত শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জিয়াউল আহসান ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৯ সালে র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হিসেবে যোগ দিয়ে একই বছর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান এবং র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হন।
র্যাবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে পরিচিতি পান। ২০১৩ সালে কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হন। এরপর ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর পরিচালক হন। ২০১৭ সালে তাকে এনটিএমসির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ২০২২ সালে এনটিএমসির মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তার নেতৃত্বেই সংস্থাটি পরিচালিত হয়।
thebgbd.com/NA
