ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হুথি ক্ষেপনাস্ত্র হামলার বদলায় সানায় ইসরায়েলের হামলা

হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, হুদাইদাহ প্রদেশের সালিফ বন্দর এবং রাস ইসা তেল টার্মিনালে নয় জন নিহত হয়েছে।
  • অনলাইন ডেস্ক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
হুথি ক্ষেপনাস্ত্র হামলার বদলায় সানায় ইসরায়েলের হামলা সানায় তেল শোধনাগারে আগুন নেভানো চলছে।

ইসরাইল জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত হুথি নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় তাদের যুদ্ধবিমান কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। দেশটির এক সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে লোহিত সাগর তীরবর্তী নৌবন্দর এবং রাজধানী সানার একটি জ্বালানি অবকাঠামো।


হুথি-নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, হুদাইদাহ প্রদেশের সালিফ বন্দর এবং রাস ইসা তেল টার্মিনালে নয় জন নিহত হয়েছে। ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রে মধ্য ইসরায়েলের তেল আবিবের রামাত গানে একটি স্কুল এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালানো হয়।


উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেন নিয়ন্ত্রণকারী হুথিরা, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরায়েলের জাহাজে আক্রমণ শুরু করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গত বছর অক্টোবর থেকে ইয়েমেন থেকে দেশটিতে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ছোড়া হয়েছে, যার বেশিরভাগই মাঝপথে ধ্বংস হয়েছে।


বৃহস্পতিবার ভোরে তেল আবিব এবং আশেপাশের অঞ্চলে সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলিদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।এরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ধ্বংস করে দেয় বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। আইডিএফ ইয়েমেন থেকে আসা ক্ষেপণাস্ত্রটি রামাত গানের রামাত এফেল এলাকায় একটি স্কুল ধসে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।


ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু অংশ বা ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের আঘাতে স্কুল ভবনটি ধসে পড়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে আইডিএফ। শিক্ষামন্ত্রী ইয়োভ কিশ বলেছেন, আটকে দেওয়ার পরেও সম্ভবত ‘ওয়ারহেডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে সরাসরি আঘাত করেছে।’


সূত্র: বিবিসি

এসজেড