ঘুম থেকে ওঠার পর অনেকের প্রথম কাজই হয় বিছানা গোছানো। ফুলতোলা চাদর, মাথার নরম বালিশ, তুলতুলে কম্বল ভাঁজ করে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখার মাধ্যমেই তাদের সকাল শুরু হয়। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে কুঁচকে নোংরা হয়ে থাকা বিছানা দেখতে তো আর ভালো লাগে না।
কারও কারও মতে, দিনের শুরুতেই বিছানা গুছিয়ে নিলে মনে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিছানাকে সাজিয়ে গুছিয়ে টানটান করে রাখাকে তারা তাই রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
বিপরীতে, কেউ কেউ আছেন যাদের বিছানা ছেড়ে উঠতেই মন চায় না (এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে!); ঘুম ভাঙ্গার পরও আধাঘণ্টা তাঁরা বিছানায় পড়ে থাকেন! বিছানা গোছানোর কোনোরকম আগ্রহ তাদের মধ্যে কাজ করে না, কারণ গুছিয়ে কিই-বা লাভ! রাতে তো আবার এখানেই ঘুমাতে হবে! সারা দিনের পর বাড়ি ফিরে সকালের ‘বাসি বিছানা’তেই তারা গা এলিয়ে দেন।
এই মানুষগুলোর কথা ভেবেই যেন আজকের দিনটিকে প্রবর্তন করা হয়েছে। কারণ, আজ বিছানা না গোছানোর দিন!
আরও অবাক হবেন জেনে যে, এই দিনটির উদ্যোক্তা পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। শ্যানন বারবা নামের সে শিক্ষার্থী সরাসরি মার্কিন কংগ্রেসের কাছে নিজের আর্জি জানিয়ে এক চিঠি লেখেন।
চিঠিতে শ্যানন লেখেন, ‘মাঝেমধ্যে আমার বিছানা গোছাতে সত্যিই ক্লান্ত লাগে। এমন একটা দিন যদি আমাদের দেশে থাকত যেদিন কাউকে নিজের বিছানা গোছানো নিয়ে ভাবতে হতো না, তাহলে কিন্তু বেশ হতো। আপনারা এ নিয়ে একটি বিল পাস করলে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ থাকব।’
ছোট শিশুটির আবেদন যে কেউ ফেলতে পারেনি সেটিই বোঝা গেল দিবসটির প্রচলনের মাধ্যমে।
thebgbd.com/NA