ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিরোধ নিরসনে ইসলাম যা বলে

ইসলাম শান্তি, সহমর্মিতা এবং ন্যায়ের উপর ভিত্তি করে একটি সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
বিরোধ নিরসনে ইসলাম যা বলে সংগৃহীত

তাই কোনো বিরোধ বা বিবাদ নিরসনের ক্ষেত্রে ইসলামের দিকনির্দেশনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে বিরোধ মেটানোর জন্য কুরআন এবং হাদিসে সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে।


ন্যায়বিচারের নির্দেশ: আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচার, সৎকর্ম এবং আত্মীয়দের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দেন।’ (সূরা আন-নাহল, ১৬:৯০)


বিরোধ নিরসনে পক্ষপাতিত্ব না করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


বিরোধ মীমাংসার জন্য সালেহ বা মধ্যস্থতা: আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমাদের দুই দল মুসলমানের মধ্যে বিবাদ হয়, তবে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও।’

(সূরা আল-হুজরাত, ৪৯:৯)


দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয় পক্ষকে যুক্তিসঙ্গত সমাধানের দিকে আনার জন্য একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা যেতে পারে।


ক্ষমা ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা: ‘মন্দের প্রতিশোধ হবে অনুরূপ মন্দ। তবে যে ক্ষমা করবে ও সংশোধন করবে, তার প্রতিফল আল্লাহর কাছে রয়েছে।’

(সূরা আশ-শূরা, ৪২:৪০)


ক্ষমাশীলতা বিরোধ মীমাংসার একটি উত্তম পন্থা।


গীবত, অপবাদ এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য থেকে বিরত থাকা: বিরোধের একটি সাধারণ কারণ হচ্ছে গীবত (পরনিন্দা) এবং অপবাদ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একে অপরের পেছনে গীবত করো না।’ (সূরা আল-হুজরাত, ৪৯:১২)


এমন কাজ বিরোধকে আরও বাড়িয়ে তোলে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।


প্রমাণ ও সাক্ষ্যর ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত: নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়, সে বড় পাপের মধ্যে লিপ্ত হয়।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)


সঠিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিরোধের সমাধান করা জরুরি।


মীমাংসায় তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, সে উত্তম কাজ করে।’ (সহিহ বুখারি)


কোনো নিরপেক্ষ ব্যক্তি যদি মধ্যস্থতা করেন, তা বিরোধ নিরসনে সহায়ক হতে পারে।


ইসলামে বিরোধ নিরসনে মূলমন্ত্র হলো ন্যায়বিচার, ক্ষমাশীলতা, এবং শান্তিপূর্ণ সমঝোতা। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ধৈর্য, এবং আল্লাহর নির্দেশনা মেনে চললে যেকোনো বিরোধ সহজেই মেটানো সম্ভব।



thebgbd.com/AR