ঢাকা | বঙ্গাব্দ

বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস

বিশ্ব ইজতেমা এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সমাবেশ। এটি সাধারণত দু'টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস ফাইল ছবি

‘ইজতেমা’ শব্দটি আরবি থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো সমাবেশ বা একত্রিত হওয়া। এটি মূলত ইসলামের দাওয়াতি আন্দোলনের একটি বৃহৎ আয়োজন, যেখানে মুসলিমরা একত্রিত হয়ে ইমান, আমল, এবং দ্বীনি শিক্ষার উপর আলোচনা ও দোয়া করেন।


বিশ্ব ইজতেমার সূচনা


বিশ্ব ইজতেমার সূচনা হয় ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের মেওয়াতে। পরে দেশভাগের পর এটি পাকিস্তানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে প্রথম ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য নির্ধারিত স্থানে এটি শুরু হয় এবং ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে।


বিশ্ব ইজতেমা এখন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সমাবেশ। এটি সাধারণত দু'টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপে দেশের একটি অংশের মুসল্লিরা এবং দ্বিতীয় ধাপে অন্যান্য অংশের মুসল্লিরা অংশ নেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়।


বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্য


- ইসলামের দাওয়াতি কাজকে প্রসারিত করা।

- মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।

- দোয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।


বিশ্ব ইজতেমার গুরুত্ব


বিশ্ব ইজতেমা শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই সমাবেশে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এটি বাংলাদেশে একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।


বিশ্ব ইজতেমার ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে তাবলিগ জামাতের নিজস্ব নথি, বাংলাদেশের সরকারি নথি এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উল্লেখযোগ্য। ২০১৯ সালে বিবিসি ও সিএনএন-এর মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার বিশালতার উপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।


বিশ্ব ইজতেমা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। ইসলামের মুল্যবোধ প্রচার এবং পারস্পরিক ঐক্যের জন্য এটি যুগ যুগ ধরে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।


thebgbd.com/NIT