বান্দরবানের লামা উপজেলার টংঙ্গ্যা ঝিরিপাড়ায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ত্রিপুরাপল্লিতে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরই ইউনিয়নের টংঙ্গ্যা ঝিরিপাড়া পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ কাউছার।
পুলিশ সুপার জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইব্রাহিম, স্টিফেন ত্রিপুরা, মসৈনিয়া ত্রিপুরা ও যোয়াকিম ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার ভিত্তিতে রিমান্ড আবেদন করা হবে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গুঙ্গামনি ত্রিপুরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন, যেখানে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার বলেন, জায়গা-জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ এবং স্থান দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পূর্বে জায়গাটি সফি চন্দ্রপাড়ার লোকজন ব্যবহার করতেন। কিন্তু তারা জায়গাটি ছেড়ে দিলে টংঙ্গ্যা ঝিরির ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে বসবাস শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বের বাসিন্দারা প্রতিশোধ নিতে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গুঙ্গামনি ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, পূর্বের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতেন এবং তাদের ঘরগুলো পুড়িয়ে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এই অগ্নিকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুই পক্ষের বিরোধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন বলে কথিত আছে, তবে এ বিষয়ে কোনো নথি বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
thebgbd.com/NIT