ঢাকা | বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার দাবি মার্কিন জনপ্রতিনিধির

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রাশিদা তালিব হচ্ছেন একমাত্র ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আইনপ্রণেতা যিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন কংগ্রেসে সরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।
  • | ০৯ মে, ২০২৪
নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার দাবি মার্কিন জনপ্রতিনিধির আইসিসির প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেস ওম্যান রাশিদা তালিব

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালানোর দায়ে ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেস ওম্যান রাশিদা তালিব।

ইসরায়েল যখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের পরামর্শ উপেক্ষা করে গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে আগ্রাসন শুরু করেছে এবং এরইমধ্যে রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তখন রাশিদা তালিব এই আহ্বান জানালেন। খবর দ্যা হিলের।

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানসহ আরও অনেক বিশ্বনেতা নেতানিয়াহুকে গণহত্যার দায়ে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, গাজায় গণহত্যার জন্য চূড়ান্তভাবে ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে তাদের বিরুদ্ধে জরুরিভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় ইসরায়েল সুস্পষ্টভাবে আইন লঙ্ঘন করেছে যার প্রমাণাদি রয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে রাশিদা তালিব হচ্ছেন একমাত্র ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আইনপ্রণেতা যিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন কংগ্রেসে সরব ভূমিকা পালন করে আসছেন।

রাশিদা তালিব বলেন, গত কয়েক মাস ধরে নেতানিয়াহু রাফা শহরে আগ্রাসন চালানোর সুস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে আসছেন এবং দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখানে আমার বেশিরভাগ সহকর্মী এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন সম্ভাব্য গণহত্যাকে জোরদার করতে সেখানে অস্ত্র পাঠিয়েছেন।

বর্ণবাদী ইসরায়েল সরকারের কাছে আমেরিকা কোনরকমের শর্ত ছাড়াই এক হাজার চারশ কোটি ডলারের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যা এই গণহত্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে অভিযোগ করেন রাশিদা তালিব।

এদিকে, এক্স পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই। সেখানকার প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের বেশি বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। সেখান থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কোনো দৃশ্যমান পরিকল্পনা নেই। ইসরায়েল সরকার শুধুমাত্র মিথ্যা নিরাপত্তার আশ্বাস দিচ্ছে যাতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে ফাঁকি দেওয়া যায়।