পেরুর উপকূলে একের পর এক বিশালাকৃতির ঢেউ আছড়ে পড়ছে। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ ফুট উচ্চতার ঢেউও রয়েছে। দৈত্যকার এইসব সামুদ্রিক ঢেউ এর কারণে সেদেশের বন্দরগুলো বন্ধ রয়েছে। পেরু থেকে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও এর পার্শ্ববর্তী দেশ ইকুয়েডরের উপকূলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর এএফপি’র।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জীবনহানীর আশংকায় মধ্য ও উত্তর পেরুর উপকূলের অনেক সমুদ্র সৈকত বন্ধ রাখা হয়েছে। পেরুর জাতীয় জরুরি অভিযান কেন্দ্র সোস্যাল মিডিয়া এক্সে জানিয়েছে যে দেশটির ১২১টি বন্দরের মধ্যে ৯১টি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই ঢেউ সেখানকার জেটি ও জনবসতি ডুবিয়ে দিয়েছে। মানুষকে উচ্চভূমিতে যেতে বাধ্য করছে। প্রতিবেশি ইকুয়েডরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জাতীয় সচিবালয় বলেছে, উপকূলীয় শহর মান্তায় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজধানী লিমার কাছের অবস্থিত দেশটির গুরুত্বপুর্ণ বন্দর ক্যালাও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকূলবর্তী শহরগুলোতে পর্যটকদের সৈকতে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। এছাড়া, জেলেদেরকে সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন এনরিক ভারেয়া টেলিভিশন চ্যানেল এনকে বলেছেন, পেরু উপকূলের এই ঢেউয়ের উৎপত্তি হাজার কিলোমিটার দূরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে। যেখানকার সমুদ্রপৃষ্ঠে সৃষ্ট অবিরাম বাতাসের ফলে এই ঢেউয়ের উৎপত্তি।
সূত্র : এএফপি
এসজেড