জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বুক পেতে যারা জীবন দিতে পেরেছে তাদের হাতে এদেশ নিরাপদ থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা তাদেরকে সম্মানিত করতে চাই। আমরা একটি সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে নৈতিকতার শিক্ষা থাকবে। শিক্ষা মানুষকে মানুষ করবে। আমাদের শিশুরা একটি সার্টিফিকেট নিয়ে শুধু বের হবে না। দুই হাতে কাজ নিয়েও বের হবে। অফিস আদালতে ঘুষ বাণিজ্য চলবে না, কোনো চাঁদাবাজ আর হাত বাড়াবে না, দখলদারিত্ব থাকবে না- এমন একটি বাংলাদেশ আমরা চাই।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুরে বীরগঞ্জ উপজেলায় পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আমরা নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু স্বৈরাচার সরকরের পতন ঘটাতে পারিনি। আমাদের ছেলেমেয়েদের হাতে তাদের নেতৃত্বে আমরা দেশবাসী ছিলাম। অগ্রভাগে তারাই ছিল। এটা আমাদের গর্বের।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেছেন ১৮ নয়, ১৭ বছর বয়স যাদের হয়েছে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। কেউ কেউ বলছেন- এটা আমরা মানি না। কেন মানেন না। রাস্তায় নেমে এরাই তো স্বাধীনতা এনেছে। তারা বুক পেতে দিয়ে বলেছে গুলি কর। আপনি আমি তা পারিনি। প্রধান উপদেষ্টার এ কথাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা বলি তাদেরকে অবশ্যই ভোটার করতে হবে। যারা বুক পেতে দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিতে পারে, আমরা দেশবাসী তাদের ভোটের অধিকার দিতে পারি না?
শফিকুর রহমান বলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে এমন কোনো উদাহরণ নেই জাতি বিভক্ত হয়ে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেছে এবং তারা উন্নতির শিখরে উঠেছে। বরং বিভক্ত জাতি বিশৃঙ্খল থাকে। আর যারা বিশৃঙ্খল থাকে তাদের মাথায় অন্য সবাই কাঁঠাল ভেঙে খায়। বাংলাদেশের বিগত ৫৩টি বছরে আমরা এই বিভক্তির কবর রচনা করতে চাই। কোনো পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি এদেশের মানুষ আর মানবে না। ওই বিভক্তি আমাদের সর্বনাশ করেছে। এই সর্বনাশে জাতি আর হাবুডুবু খেতে চায় না। এখন যারা এই বিভক্তিকে জিইয়ে রাখতে চেষ্টা করবে তারা কার্যত জনগণের মুখোমুখি দাঁড়াবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে আর ক্ষমা করবে না। আমাদের এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। কোনো কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দেশ এবং জাতির স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধ, দেশের বিরুদ্ধে হাজার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র আমরা ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করব
thebgbd.com/AR