জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বইটিতে ‘নাহিয়ান’ নামে একজনের নাম উল্লেখ করেছে। তবে এনসিটিবি জানিয়েছে, প্রকৃতপক্ষে তাদের লক্ষ্য ছিল ‘নাফিসা হোসেন’ নামে একজন শহীদের কথা উল্লেখ করা।
বইয়ের এক অংশে বলা হয়েছে, রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আবু সাঈদের মৃত্যু আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়। একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, উত্তরা এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মীর মুগ্ধ, গোলাম নাফিজ এবং আনাসসহ আরও অনেকে নিহত হয়েছেন।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, তারা বিশেষভাবে একজন নারী শহীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে টঙ্গীর সাহাজউদ্দিন সরকার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী নাফিসার নাম বেছে নেওয়া হয়। সাভারে আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হন নাফিসা। তবে ‘নাহিয়ান’ নামে কাউকে শহীদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, ভুলটি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সংশোধন করা হবে। পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ সংস্করণে এই ভুল ঠিক করা হবে এবং সংশোধনী পাঠানো হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করা শহীদদের মধ্যে গোলাম নাফিজ একটি প্রতীকী ছবি দিয়ে পরিচিতি লাভ করেন। ওই ছবিতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশার পাদানিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে দশম শ্রেণির ছাত্র আনাস তার মাকে লেখা চিঠিতে নিজের সংগ্রামে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মিছিলে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি প্রাণ হারান।
পাঠ্যবইয়ের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে দেশপ্রেম এবং আত্মত্যাগের উদাহরণ হিসেবে তিতুমীর, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আসাদ, মতিউর, সার্জেন্ট জহুরুল হক, নুর হোসেন, ডা. শামসুল আলম খান মিলন, এবং নাজির উদ্দিন জেহাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের স্মরণে স্কেচও যুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনা পাঠ্যপুস্তকে তথ্যের সঠিকতার গুরুত্ব পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেয়। এনসিটিবি সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
thebgbd.com/AR