ঢাকা | বঙ্গাব্দ

অতিরিক্ত শব্দ করা ভদ্রতার পরিপন্থী

ইসলামে অতিরিক্ত শব্দ করা বা উচ্চস্বরে কথা বলা ইসলামের আদর্শের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০২ জানুয়ারি, ২০২৫
অতিরিক্ত শব্দ করা ভদ্রতার পরিপন্থী ছবি : সংগৃহীত।

ইসলামে অতিরিক্ত শব্দ করা বা উচ্চস্বরে কথা বলা, যা অন্যের বিরক্তির কারণ হয়, তা ভদ্রতার পরিপন্থী এবং ইসলামের আদর্শের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে, যা অন্যের জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে।


পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর তোমার কণ্ঠস্বর নিচু রাখো; নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ঘৃণিত আওয়াজ হলো গাধার আওয়াজ।’ (সূরা লুকমান: ১৯)

এই আয়াতের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে, যেন তারা অপ্রয়োজনে উচ্চস্বরে কথা না বলে এবং তাদের আচরণে সংযম প্রদর্শন করে।


নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬০১৮)


উচ্চস্বরে শব্দ করা প্রতিবেশী বা অন্যের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে এবং এটি ইসলামিক আদর্শের বিপরীত।


শব্দ করার ক্ষেত্রে সংযম এবং বিবেচনার গুরুত্ব ইসলামে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় শব্দ দূষণ যেমন অন্যকে বিরক্ত করে, তেমনি এটি সামাজিক শৃঙ্খলাও ব্যাহত করে। ইসলামে প্রতিটি মুসলমানকে অন্যের শান্তি, সম্মান, এবং আরাম রক্ষা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত শব্দ করা বা এমন আচরণ, যা অন্যের কষ্টের কারণ হয়, তা থেকে বিরত থাকা উচিত।


সুতরাং, অতিরিক্ত শব্দ করা ইসলামিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এটি থেকে বিরত থেকে সংযম প্রদর্শন করা এবং অন্যের জন্য শান্তির পরিবেশ নিশ্চিত করা ইসলামের শিক্ষা।


thebgbd.com/NA