কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের সমালোচক এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিককে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তার কাজ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ায় তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয় বলে দেশটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। হাভানা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানায় বসবাস করছেন উল্লেখ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ হোসে লুইস ট্যান এস্ত্রাদা লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার দমনমূলক, নিচু ও নোংরা পদ্ধতির কারণে, আমাকে চরম পরিস্থিতিতে এবং হুমকির মধ্যে কিউবা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিউবার শাসন আমাকে নির্বাসিত করেছে কারণ আমার সাংবাদিকতা, আমার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং আমার নিন্দা এল অ্যাকিলিস গোড়ালিতে আঘাত করেছে।’
মিয়ামি-ভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী কিউবালেক্স এক্স-এ বলেছে, ট্যান এস্ত্রাদা ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে ক্রমাগত চাপ এবং হুমকির কারণে নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন।’ কিউবার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিউবার কামাগুয়েতে বসবাসকারী এস্ত্রাদাকে গত এপ্রিল মাসের শেষভাগে আটক করে পাঁচ দিন কারাগারে রাখা হয়। পরে তিনি জানান, বাসে ভ্রমণ করার সময় পুলিশ তাকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। ট্যান এস্ত্রাদা বলেন, তাকে রাজধানীতে একটি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আটক কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয় এবং প্রতিদিন নির্মম জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হতে হয়েছে।
২০২৩ সালে পাশ হওয়া একটি তথ্য আইনের অধীনে কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোই দ্বীপের একমাত্র আইনসম্মত গণমাধ্যম। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি স্বাধীন অনলাইন মিডিয়া আউটলেট আবির্ভূত হয়েছে, তবে তাতে প্রবেশ করতে হলে স্থানীয় বা অন্যদের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এর ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: আরটি
এসজেড