সাত দিনের ব্যবধানে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এডিএফ) দ্বিতীয় হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে ক্রিসমাসের সময়ে উত্তর কিভু প্রদেশে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট এডিএফ এর ধারাবাহিক হামলায় ২১ জন নিহত হয়। স্থানীয় সূত্র বুধবার এএফপিকে এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, একই প্রদেশের দু’টি স্থান লক্ষ্য করে মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাতভর নতুন করে এ হামলা চালানো হয়। বাপেরে সেক্টরের স্থানীয় কর্মকর্তা স্যামুয়েল কাগেনি এএফপিকে জানিয়েছেন, বিলেন্দু গ্রামে বিদ্রোহীরা অন্তত আটজনকে হত্যা করেছে। স্থানীয় অন্যান্য সূত্র এএফপিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। একই সূত্র জানায়, বিদ্রোহীরা মাঙ্গোয়া গ্রামে অন্তত চারজনকে হত্যা করেছেন, উভয় স্থানের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন।
মূলত ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো)-এর উত্তর পূর্বাঞ্চলে উগান্ডার এডিএফ বা মিত্র গণতান্ত্রিক বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। অঞ্চলটিতে প্রায়শই এডিএফ যোদ্ধারা অতর্কিত হামলায় বেসামরিক মানুষকে হত্যা কর আসছে।
২০১৯ সালে, এডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করে। আইএস তাদের ইসলামিক স্টেট সেন্ট্রাল আফ্রিকা প্রদেশ বলে দাবি করে এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কিছু হামলার দায় স্বীকার করে। ২০২১ সালের শেষের দিকে, উগান্ডা এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) বিদ্রোহী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ)-এর বিরুদ্ধে একটি যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করে।
সূত্র: এএফপি
এসজেড