বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের জন্য গ্রেপ্তার প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। মূলত তার সমর্থক ও স্টাফদের কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির বিশেষ তদন্তকারী দল। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার কারণে ইওল অভিশংসনের মুখোমুখি হন, এবং দেশটির সংসদ তাকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বহিষ্কার করে। এরপরই দেশটির সর্বোচ্চ আদলত তারে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘লড়াই’ করার অঙ্গীকার করার পর থেকে ইউনের সমর্থকরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে রীতিমত শিবির স্থাপন করে অবস্থান করছে এবং তার নিরাপত্তা দলের সদস্যরাও পুলিশের অভিযানকে ক্রমাগত বাধাগ্রস্ত করছে।
আগামী ৬ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে জারিকৃত ওয়ারেন্টের মেয়াদ শেষ হবে। তার আইনজীবী ইউন কাব-কেউন প্রতিবাদকারীদের প্রতি দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শক্তি এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানের কার্যকলাপের কারণে’ বর্তমানে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইওল একটি ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমে বলেন, ‘এই জাতিকে রক্ষা করার জন্য শেষ পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’ তার আইনজীবী এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন, অভিশংসিত নেতা রাজধানী সিউলে রয়েছেন।
বিরোধী আইন প্রণেতারা ইওলের বার্তাটিকে উস্কানিমূলক বলে নিন্দা করেছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মুখপাত্র জো সিউং-লে একে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে অভিহিত করেন এবং ইওলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে ইউনের আইনজীবীরা ওয়ারেন্টটি বাতিল করতে একটি নিষেধাজ্ঞার জন্য আবেদন করেছে এবং তারা দাবি করেছে গ্রেপ্তারের আদেশ ‘বেআইনি এবং অবৈধ’।
সূত্র: এএফপি, বিবিসি
এসজেড