শুরুর দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। জয়ের খোঁজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা। ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি রাজধানীর দলটির। ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান জমা করে খুলনা টাইগার্স। এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের টপ-অর্ডার। একশ’র আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। শেষ পর্যন্ত আবু হায়দার রনির ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানের স্কোর পায় খুলনা।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারেই খুলনার স্কোরবোর্ডে ৫০ রান। এর আগে ৪৯ রানের মাথায় চাতুরাঙ্গার বলে শাহাদত হোসাইন দিপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। আর তাতেই ভেঙে যায় ৪৯ রানের ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩০ রান। স্কোরবোর্ডে আর এক রান জমা হতেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২ বল ১ রান করেই তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে।
আফগান ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরানও এ দিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করেই নাজমুল ইসলামের বলে স্টাম্পড আউড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও এ দিন কিছু করতে পারেননি। ১০ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই থিসারা পেরেরার বলে আলাউদ্দিন বাবুর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ।
৮ বলে ৫ রান করা মোহাম্মদ নাওয়াজকে ফেরান আলাউদ্দিন বাবু। ১১.২ ওভারে ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা টাইগার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৯ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন জিয়াউর রহমান ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জিয়াউর। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২২ রান।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অঙ্কনও। ২২ বলে ৩২ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান আবু জায়েদ। শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন আবু হায়দার রনি। ৮ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আরেক প্রান্তে ৪ বলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন নাসুম আহমেদ। ঢাকার হয়ে চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা নেন দুটি উইকেট। এছাড়া আবু জায়েদ, মোস্তাফিজুর, নাজমুল ইসলাম, শুভাম রানজানে, আলাউদ্দিন বাবু ও থিসারা পেরেরা নেন একটি করে উইকেট।
thebgbd.com/NIT