করোনার পর চীনে আবারও নতুন একটি ভাইরাসের উদয় হয়েছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে দেশটির সরকার জানিয়েছে, উদ্বেগের তেমন কোনও কারণ নেই। কিন্তু এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ হংকংয়ে দুজন রোগির খবর পাওয়া গেছে। সেখানেও জারি হয়েছে সতর্কতা। বাড়ির বাইরে কিংবা জনবহুল এলাকায় যাওয়ার আগে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের।
এইচএমপিভি আসলে কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ (সিডিসি)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, করোনার মতো হাঁচিকাশির মাধ্যমেই রোগ ছড়ায় এই ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানাচ্ছে, করোনার অসংখ্য প্রজাতি ও উপপ্রজাতি রয়েছে। কিন্তু এইচএমপিভি-র ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত দু'টি প্রজাতি শনাক্ত করা গিয়েছে। ‘এইচএমপিভি-এ’ ও ‘এইচএমপিভি-বি’, যাদের আবার চারটি ভাগ রয়েছে এ১, এ২, বি১ ও বি২। চীনে ঠিক কোন প্রজাতি ছড়িয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে যেসব সতর্কতা নিতে হবে
১) সাবান-পানি দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে। চোখে-মুখে হাত দেওয়ার আগেও সতর্ক থাকতে হবে।
২) জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলাই ভাল। বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
৩) সাধারণ সর্দিকাশি, জ্বর হলেও অবহেলা করা যাবে না। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোভিড আর এইচএমপিভি কি এক?
যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, এইচএমপিভি এবং সার্স-কোভ ২ বা করোনা— এই দু’টি ভাইরাসের উৎসস্থল আলাদা। তবে এদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও রয়েছে।
১) করোনা এবং এইচএমপিভি— দু’টিই শ্বাসনালি এবং শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে।
২) দু’টি ভাইরাসই ছোঁয়াচে। সংক্রামিত ব্যক্তির থেকেই রোগ দ্রুত ছড়ায়।
৩) কোভিড হলে প্রাথমিক ভাবে জ্বর, হাঁচিকাশি, গলায় ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এইচএমপিভি-র ক্ষেত্রেও লক্ষণগুলো প্রায় একই রকম।
৪) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যুক্ত ব্যক্তি, বয়স্ক কিংবা শিশুদের শরীরে দ্রুত ভাইরাস দু’টি হানা দেয়।
সূত্র: বিবিসি
এসজেড