গুয়েতেমালার সেনাবাহিনীর প্রায় ৮০ জনের একটি দল শনিবার হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে পৌঁছেছে। সেনারা হাইতির ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিরসনে দেশটির পুলিশকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। বার্তা সংস্থা এএফপি পোর্ট অব প্রিন্স থেকে জানায়, সেনাদের প্রথম দলটি পৌঁছানোর একদিন পর দ্বিতীয় ও শেষ দলটি রাজধানীতে পৌঁছল। এই নিয়ে হাইতিতে গুয়েতেমালার সৈন্য সংখ্যা দাড়াল ১৫০ জনে।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালার সেনারা সেখানে কেনিয়ার নেতৃত্বে জাতিসংঘের বহুজাতিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছে। গত বছর জুনে হাইতিতে বহুজাতিক বাহিনীর মোতায়েন শুরু হয়। এ পর্যন্ত বাহিনীতে ৪শ কর্মকর্তা যোগ দিয়েছে, এদের অধিকাংশই কেনিয়ার। এছাড়া জ্যামাইকা, বেলিজ ও এল সালভাদোরের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাও আছে।
এই বহুজাতিক বাহিনী হাইতির অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত শক্তিশালী অপরাধ চক্রগুলোকে দমন করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অস্ত্রধারী অপরাধচক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ অনুমান করছে, সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রগুলো রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের পরও থেকে সঙ্কট-বিধ্বস্ত ক্যারিবিয়ান দেশটিতে অপরাধ চক্রদের সহিংসতা কমেনি।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় সশস্ত্র গ্রুপের হামলা বাড়ছে। ২৪ শে ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতাল পুনরায় চালু করার সময় একটি অপরাধ চক্রের সদস্যদের হামলায় দুই সাংবাদিক ও একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। জাতিসংঘের মতে, ডিসেম্বরের শুরুতে একটি অপরাধী চক্রের নেতার নির্দেশে ২০০ জনেরও নিহত হয়। এক মাস আগে, বন্দুকযুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দরটি বাণিজ্যিক বিমানের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র: এএফপি
এসজড