সামাজিমাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল দুই তরুণীর। পরিচয় গড়ায় বন্ধুত্বে। এরপরেই ফোনে কথা বলা শুরু করেন দুজনে। ক্রমে সেই বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে ওঠে। এরপরেই একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা। নিজেদের গ্রাম ছেড়ে ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার মামুরা গ্রামে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুজনেই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে দুই তরুণী বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের দাবি, তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রীর মতো দেখেন। জানা গেছে প্রায় এক থেকে দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে দুজনের পরিচয় হয়। একজন মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা, দ্বিতীয়জনের বাড়ি সাহারানপুরে। বন্ধুত্ব প্রেমের পরিণতি পাওয়ার পর বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। বাড়িতে চাকরির কথা বলে নয়ডায় চলে আসেন তারা।
এরপর ঘটনাটি জানাজানি হয়, ওই দুই তরুণীর বাড়ির লোকেরাও বিষয়টি জানতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রেম ও বিয়ের কথা জানতে পারলে তারা বিয়ের বিরোধিতা করে। তাদের দুজনকেই চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে আসার কথাও বলা হয়।
এরপরে জবলপুরের বাসিন্দা মেয়েটির ভাই তার বোনকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে নয়ডায় যান। তারপরেই ভয় পেয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হয় দুই তরুণী। নিজেদের সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। তারা বলেন, "স্যার আমাদের বিয়ে দিয়ে দিন।"
পুলিশ দুই তরুণীকে বাড়ি ফেরার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন তারা। অবশেষে তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলেও দুজনেই তাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করেন। তারা জানান, পরিবারের সঙ্গে ফিরে গেলে তারা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাবে। কিন্তু তারা একে অপরকে বিয়ে করতে চান। এর আগেও এমন বহু বিচ্ছেদের ঘটনা সামনে এসেছে।
thebgbd.com/NIT