ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করছেন ট্রুডো?

লিবারাল পার্টি ছাড়তে চলেছেন জাস্টিন ট্রুডো। প্রধানমন্ত্রী পদও ছাড়বেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫
পদত্যাগ করছেন ট্রুডো? জাস্টিন ট্রুডো

নিজের দল এবং বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সে দেশের সংবাদপত্র ‘গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সোমবারই নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে দিতে পারেন ট্রুডো।


যদি সোমবার না-ও হয়, চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই তিনি লিবারাল পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করবেন, সূত্র উল্লেখ করে দাবি ওই সংবাদপত্রের। এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ ছাড়ার পরও তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।


ট্রুডো যে নিজের দল থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছেন, এই খবর জানাতে মোট তিন সূত্র উল্লেখ করেছে কানাডার সংবাদমাধ্যমটি। আগামী বুধবার কানাডায় লিবারাল পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। তার আগেই ট্রুডো দল ছাড়বেন। খবর সিএনএন’র।


২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসাবে দায়িত্ব নেন ট্রুডো। নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পরে কানাডায় তার জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। বার বার তার সিদ্ধান্ত নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ট্রুডোর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের অভ্যন্তরে অসন্তোষ রয়েছে। ২০২৩ সালের নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গেছে, কানাডীয়রা তাকে আর পছন্দ করছেন না। 


বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ দল ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু দিন আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের প্রশাসনে অসন্তোষ আরও তীব্র হয়েছে। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেও তা সামলাতে পারেননি ট্রুডো। পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাকে দল থেকেই চাপ দেওয়া হচ্ছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্টারিও প্রদেশের ৭৫ জনের মধ্যে অন্তত ৫১ জন এমপি ট্রুডোকে সরানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। লিবারাল পার্টিরই বহু এমপি তার পদত্যাগের দাবিতে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন।


কানাডার প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথগ্রহণ। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারার মতো সরকার চায় কানাডা। তাই ট্রুডোর পদত্যাগের পর সে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিও জোরালো হতে পারে। ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিলে কাকে অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।


সূত্র: সিএনএন


এসজেড