সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই মাঠে স্বাগতিক দল। ঢাকা পর্বের রানবন্যার পর লাক্কাতুরায় তাই আরেকটা রানবন্যার প্রত্যাশাই ছিল দর্শকদের। রনি তালুকদার, লোকাল বয় জাকির হাসানের অর্ধশতক এবং আরেক লোকাল বয় জাকের আলীর সঙ্গে অ্যারন জোন্সের ঝড়ে বড় স্কোর গড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করেছে। শেষ ওভারে জাকের আলী এবং অ্যারন জোন্স মিলিয়ে আকিফ জাভেদকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ।
এখন পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ খেলে হারের মুখ দেখা সিলেটকে এদিন শুভসূচনা এনে দেন রনি তালুকদার-জর্জ মুনসি জুটি। পাঁচ ওভারে ৪৭ রান তোলার পর এই জুটি ভাঙে।
আকিফ জাভেদের বলে আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ১৮ রান করেন মুনসি।
রনি ততক্ষণে ঝড় তুলেছেন। জাকির খেলছিলেন দেখেশুনে। অর্ধশতক পূর্ণ করেই বিদায় নেন রনি। নবম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৮৮ রানে বিদায় নেন তিনি। ৩২ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৫৪ রান করেন রনি।
রনির বিদায়ের পর পল স্টার্লিং ক্রিজে আসেন। ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন এই আইরিশ। ১৬ বলে ১৬ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন তিনি।
রনির বিদায়ের পর পল স্টার্লিং ক্রিজে আসেন। ঝড় তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন এই আইরিশ। ১৬ বলে ১৬ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হন তিনি।
অর্ধশতক তুলে নেন লোকাল বয় জাকির হাসানও। কিন্তু ইনিংস আর বড় করতে পারেননি। ১৮.৩ ওভারে জাকিরের বিদায়ের সময় সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় ১৭১ রান। ৩৮ বলে ৪ ছয়ে ৫০ রান করেন তিনি।
সিলেটের আমেরিকান রিক্রুট অ্যারন জোন্স এদিন ঝড় তুলেছিলেন। ক্রিজে এসে তার সঙ্গে যোগ দেন জাকের আলী। দুজন মিলে শেষ ৯ বলে ৩৪ রান তোলেন। এর মধ্যে আকিফ জাভেদের শেষ ওভারেই আসে ২৭ রান। এই ওভারে চারটি ছক্কা আসে, যার তিনটি মারেন জাকের। বাকিটি জোন্সের।
জোন্স ১৯ বলে ১ চার ৪ ছয়ে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। জাকের মাত্র ৫ বলে ৩ ছয়ে ২০ রানের অনবদ্য ক্যামিও খেলেন।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। মেহেদী এবং আকিফ বাকি ২ উইকেট শিকার করেন। আকিফ ৪ ওভারে ৫১ রান দেন। নাহিদ রানা ঝড় থেকে রক্ষা পাননি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৫ রান।
thebgbd.com/NIT