ভারতে সোমবারই (৬ জানুয়ারি) হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) আক্রান্ত মোট চার শিশুর খোঁজ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে দুই শিশুই কর্নাটকের। ফলে দ্রুত জনসাধারণের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার। জানিয়ে দেওয়া হল, এখন থেকে পরতে হবে মাস্ক। পাশাপাশি সর্বত্র ব্যবহার করতে হবে সাবান, স্যানিটাইজার। বছর চারেক আগে কোভিড পরিস্থিতিতেও এমনই নানা সতর্কতা জারি করা হয়।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এখনই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভারতে অতীতেও এইচএমপিভি-র সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে এই ভাইরাসটির কোনও রূপান্তর হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্র থেকে আরও জানানো হয়েছে, চীনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের কোনও সম্পর্ক নেই। তা ছাড়া, এইচএমপিভি আক্রান্ত সব শিশুরই অবস্থা স্থিতিশীল। বেঙ্গালুরুতে আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য জনও সেরে ওঠার মুখে।
চীনে এইচএমপিভি’র একটি ভ্যারিয়েশনের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে অন্যান্য দেশে। অনেকেই বছর চারেক আগের করোনা-আবহের কথা ভেবে আতঙ্কিত। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর দুই শিশু, আহমেদাবাদের এক শিশু এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এক শিশুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে চীনে ভাইরাসটির যে ভ্যারিয়েশন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, সেটির গঠনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে এটি ভাইরাসের চীনা রূপ নাকি স্বাভাবিক এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ, তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
সূত্র: পিটিআই
এসজেড