কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ এবং ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারেল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানার ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার এক ঘোষণায় তিনি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে পধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেবেন তিনি। খবর সিএনএন’র।
তিনি আরও বলেছেন পার্লামেন্ট ২৪ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি রাখা এবং এই সময়ের মধ্যেই দলীয় নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে। এদিকে তার এই ঘোষণার পরেই ক্ষমতাসীন দলের অন্দরে ট্রুডোর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
একদিন আগেই কানাডার সংবাদপত্র ‘গ্লোব অ্যান্ড মেল’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১১ বছর দলের এবং নয় বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব সামলানোর পর সরকার এবং দলের দায়িত্ব ছাড়তে চলেছেন ট্রুডো। আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আঁচ পেয়েই তিনি ও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রুডো ইস্তফার ঘোষণা করলেন।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি ‘একটি অনুশোচনা’ নিয়ে পদত্যাগ করেছেন, আর তা হলো দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ট্রুডো বলেন, ‘অনেক অনুশোচনা থকলেও যদি বিশেষ একটি নিয়ে কথা বলতে হয় তো বলবো, খুব ভালো হতো যদি আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া বদলাতে সক্ষম হতাম। দেশের নির্বাচনী ব্যালটে জনগণ কেবল একজনকেই বেছে নিতে পারে। এই ব্যালটে দ্বিতীয় পছন্দ বা তৃতীয় পছন্দ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিৎ।’
এদিকে লিবারেল পার্টির প্রভাবশালী নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডর সঙ্গে সংঘাতকে ট্রুডোর ইস্তফার অনুঘটক বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রুডোর সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই তিন সপ্তাহ আগে ইস্তফা দেন ফ্রিল্যান্ড।
কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডোর প্রথম সন্তান, ট্রুডো তার বাবার পদাঙ্কই অনুসরণ করতে যাচ্ছেন। ৪০ বছর আগে এলিয়টও কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্যদিয়ে জাস্টিন ট্রুডো রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশ করেন। তারপর পাঁচ বছর পরে লিবারেল পার্টির নেতা হিসাবে দায়িত্ব নেন।
২০১৩ সালে কানাডার পার্লামেন্টে লিবারেল পার্টি তৃতীয় স্থানে নেমে যাওয়ার পরে দলের নেতৃত্বে আসেন ট্রুডো। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন। ঘটনাচক্রে ২০ জানুয়ারি কানাডার প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে সে দেশে নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
thebgbd.com/NA