আজানের জবাব দেওয়া ইসলামে একটি সুন্নত। যখন মুয়াজ্জিন আজান দেন, তখন শ্রোতার উচিত তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং সঠিকভাবে জবাব দেওয়া। আজানের প্রতিটি বাক্যের পর একই বাক্য বা নির্দিষ্ট বাক্য পাঠ করার বিধান রয়েছে।
মুয়াজ্জিন যখন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলেন, তখন জবাবে একইভাবে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বলতে হয়। এরপর মুয়াজ্জিনের প্রতিটি বাক্যের জবাব একইভাবে দেওয়া হয়, যেমন:
মুয়াজ্জিনের ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর জবাবে বলতে হয় ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ" এর জবাবে বলতে হয় "আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’।
যখন মুয়াজ্জিন ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ (নামাজের জন্য আসুন) বলেন, তখন জবাবে বলতে হয়:
‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’।
‘হাইয়া আলালফালাহ’ (সাফল্যের দিকে আসুন) এর জবাবও একইভাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’।
এরপর মুয়াজ্জিন ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ বললে, জবাবে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বললে, জবাবেও ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে হয়।
আজানের শেষে দরূদ শরীফ পড়ে একটি বিশেষ দোয়া করা সুন্নত: ‘আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ্দাওয়াতিত্তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাহ, ওয়াবআথহুমাকামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়াআদ্তাহ’।
এই দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য ওসিলা এবং মহিমান্বিত স্থান কামনা করা হয়।
আজানের প্রতি জবাব দেওয়ার এই প্রক্রিয়া একজন মুসলিমকে আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য এবং নামাজের প্রতি গুরুত্ব অনুধাবন করায়।
thebgbd.com/NIT