ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভিখারির সঙ্গে পালাননি, আত্মীয়ের বাড়ি ছিলেন!

পুলিশের কাছে মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন এক ভিখারির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তার স্ত্রী। তার সঙ্গেই পালিয়ে গেছেন তিনি।
  • অনলাইন ডেস্ক | ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫
ভিখারির সঙ্গে পালাননি, আত্মীয়ের বাড়ি ছিলেন! ভিখারির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে মহিলার বিরুদ্ধে।

শুক্রবার থেকে নিখোঁজ গৃহবধু। স্ত্রী বাড়িতে না ফেরায় পুলিশের কাছে স্বামীর অভিযোগ, ভিখারির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। ফিরেই পাল্টা দাবি, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনও ভিখারির সঙ্গে পালাননি, স্বামী তাকে প্রায়ই মারধর করেন। শুক্রবারেও মেরেছেন। তাই বাড়ি ছেড়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়ে ওঠেন। মহিলার এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে। 


পুলিশও মহিলার দাবিকে সমর্থন করে জানিয়েছে, মহিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর তিনি থানায় আসেন। মহিলা জানিয়েছেন, স্বামী মারধর করেন। তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে ফারুকাবাদে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যান। মহিলার দাবি সত্যি কি না তা জানার চেষ্টাও করা হয়। দেখা যায়, মহিলা যা দাবি করেছেন তা সত্যি। তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


হরদোইয়ের হরপালপুরে স্ত্রী রাজেশ্বরী এবং ছয় সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাজু। ওই এলাকাতেই নানহে পণ্ডিত নামে এক ভিখারি মাঝেমধ্যেই আসতেন। রাজুর দাবি, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, ভিখারির সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় হয়। ভিক্ষার অছিলায় অনেকেই তাদের দু’জনকে কথা বলতে দেখেছেন বলে প্রতিবেশিরা তাকে জানিয়েছে। ফোনেও দুজনের মধ্যে কথা হত বলে জানতে পারেন রাজু। ভিখারির সঙ্গে স্ত্রীর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি বলে দাবি রাজুর।


অভিযোগপত্রে রাজু জানান, ৩ জানুয়ারি বড় কন্যা খুশবুকে স্ত্রী বলে যান তিনি বাজারে যাচ্ছেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজেশ্বরী না ফেরায় বড় কন্যা রাজুকে ফোন করে জানান। তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে খোঁজা শুরু করেন রাজু। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাননি। তার পরই ওই ভিখারির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করেন।


সূত্র: এনডিটিভি


এসজেড