শতভাগ মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের চরিত্রহনন করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা।
বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রচারণা মেশিন, সিআরআই এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় কয়েকশ’ ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছিল, যেগুলোর অনেক এখনও চলছে। তিনি দাবি করেন, এই পোর্টালগুলো বর্তমানে শতভাগ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের চরিত্র হনন করতে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য সাধন করছে।
গোলাম মোর্তোজা আরও বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার সুরক্ষায় এসব নিউজ পোর্টাল চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এর সাথে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো সম্পর্ক নেই, বরং এটি গুজব ও অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, বুধবার এক অনলাইন পোর্টালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক তালাত রাফি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে দাবি করা হয় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রতিবেদনটি দ্রুত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে, এটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা। তবে, পরে ওই পোর্টালে এ প্রতিবেদনটি আর দেখতে পাওয়া যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এই প্রচারণাকে গুজব ও অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেছেন।
ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে হাসনাত বলেন, এসব প্রচারণা জুন মাস থেকেই শুরু হয়েছে। প্রথমে বলা হলো আমরা ১০০ কোটি টাকা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। এরপর আগস্টে বলা হলো আমরা টাকা নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়েছি। পরে ২০০ কোটি টাকা খাওয়ার খবর ছড়ানো হলো, আর এখন বলা হচ্ছে ৩২ কোটি টাকা খেয়ে সাবাড় করেছি।
তিনি আরও বলেন, এটা চলতে থাকুক, কিন্তু প্রশ্ন একটাই—যারা হাসিনার সাথে আপস করেনি, তাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণহীন অভিযোগ দিয়ে বিতর্কিত করার লাভ কাদের?
thebgbd.com/NA