তালিকায় ৫৪ নম্বরে গুলশান কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী মো. রায়হানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার পরিচয়ে ‘ছাত্র’ এবং পারিবারিকভাবে বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মো. রায়হানকে ছাত্রদলের শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, রায়হান গুলশান কমার্স কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ৫ আগস্ট স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান।
তবে, রায়হানের পরিবার এই দাবির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। রায়হানের চাচা মোফাজল হোসেন রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ভাতিজা কখনোই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না, সে ছাত্রশিবির করত। রায়হানের বাবা তোফাজ্জল হোসেনও একই ধরনের বক্তব্য দেন, এবং জানান যে, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শহীদের তালিকায় রায়হানের নাম প্রকাশ করার আগে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, রায়হান বাড্ডা দক্ষিণ থানা ছাত্রশিবিরের সাথি প্রার্থী ছিল এবং বৈঠাখালী উপশাখা সভাপতি ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের পক্ষ থেকে ছাত্রদলকে এ বিষয়ে জানানো হয়নি, তবে আমরা শহীদদের তালিকা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। আমরা সকল শহীদকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির জানিয়েছেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং তালিকা নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে।
thebgbd.com/AR