ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রংপুরের বিপক্ষে বড় পুঁজি বরিশালের

প্রতিশোধের ম্যাচে বড় পুঁজি তুলে নিলো তামিমের দল।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫
রংপুরের বিপক্ষে বড় পুঁজি বরিশালের ওপেনিং জুটিতে দলকে ৮১ রান এনে দেন তামিম ও শান্ত।

প্রথম দেখায় বড় ব্যবধানে হারানোর পর সামাজিক মাধ্যমেও খোঁচা দিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। এবার সে খোঁচার জবাব দেয়ার সুযোগ এসেছে ফরচুন বরিশালের কাছে। প্রতিশোধের ম্যাচে বড় পুঁজি তুলে নিলো তামিমের দল।


বিপিএলে গ্রুপ পর্বের ১৩তম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করেছে বরিশাল। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কাইল মেয়ার্স।

 

রংপুরের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আকিফ জাভেদ। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে ৪৭ রান খরচ করেছেন কামরুল ইসলাম।

 

প্রথম ম্যাচে বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারানোর পর সামাজিক মাধ্যমে খোঁচা দিয়ে রংপুর লিখেছিল , ‘বরিশালের লঞ্চে ধাক্কা, আতঙ্কে যাত্রীরা’। সে ধাক্কার জবাব দেয়ার সময় এসেছে বরিশালের কাছে। যদিও সিলেটের ছোটো বাউন্ডারিতে জয় পেতে বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাদের বোলারদের।

 

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বরিশাল। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর চতুর্থ ম্যাচে দ্যুতি ছড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সামনে সুযোগ এসেছিল ফিফটি হাঁকানোর। তবে কাজে লাগাতে পারেননি। ৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ৪১ রান করে কামরুলের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে অবশ্য তামিমের সঙ্গে গড়েন ৮১ রানের দারুণ জুটি। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে স্থায়ী হননি বরিশালের অধিনায়কও। ৩৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করে কামরুলের একই ওভারে ক্যাচ তুলে দেন তামিমও।

 

তৃতীয় উইকেটে নেমে ঝড় তোলেন কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়। তাদের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ১ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২৩ রান করে ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়। এরপর ক্রিজে নেমে সাইফউদ্দিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪ বলে ২ রানে থামে তার ইনিংস।

 

তবে চমক দেখান ফাহিম আশরাফ। মেয়ার্সের সঙ্গে জুটি গড়ে চড়াও হন রংপুরের বোলারদের উপর। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৬ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারের মারে ২০ রান করেন তিনি। অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে রেখে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া মেয়ার্স ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৭ ছক্কা ও ১ চারের মারে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।


thebgbd.com/NIT