ঢাকা | বঙ্গাব্দ

ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, আটক ভারতীয় জেলেদের কোনো অবস্থাতেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়নি।
  • নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫
ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের ফাইল ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় জেলেদের ওপর নির্যাতনের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগের বিরুদ্ধে গভীর হতাশা ও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বাস, সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক সম্মানের সম্পর্ককে আঘাত করার অপচেষ্টা।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, আটক ভারতীয় জেলেদের কোনো অবস্থাতেই শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়নি। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ তদন্ত চালানো হয়েছে এবং নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 


বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে যথাযথ যত্ন ও সেবা পেয়েছেন। তাদের কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগও দেওয়া হয়। 


গত ২ জানুয়ারি জেল থেকে মুক্তি এবং ৪ জানুয়ারি মোংলা বন্দর থেকে দেশে ফেরার সময় ভারতীয় কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবাসনের আগে জেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয় এবং তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন বলে নিশ্চিত করা হয়। সমুদ্রপথে যাত্রার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে। 


এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি উদাহরণ। মানবিক বিষয়গুলো সমাধানে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দৃঢ় বলে উল্লেখ করেছে সরকার। একই সঙ্গে ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে।


৫ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে আটক জেলেদের সফল প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য বিভাগ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিরা এই প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/নাবিককে গ্রহণ করে এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলে/নাবিককে ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে।


এ সময় আটক নৌযানগুলোর বিনিময়ও সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের দুটি নৌকা—“এফভি লায়লা-২” ও “এফভি মেঘনা-৫”—ফেরত আনা হয় এবং ভারতের ছয়টি নৌকা তাদের দেশে হস্তান্তর করা হয়।


এর আগে, ৬ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অভিযোগ করেছিলেন যে, ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। ভারতে ফেরা জেলেদের সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।


thebgbd.com/NIT