শীতে জনপ্রিয় শাকের মধ্যে অন্যতম পালং শাক। পুষ্টিগুণে ভরা এ শাক দামেও কম। যারা রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পালং শাক খাওয়া জরুরি।
পালং শাককে বলা হয় রক্ত পরিষ্কারক খাদ্য। প্রচুর আয়রন থাকায় শরীরে রক্ত বাড়াতেও সহায়তা করে এই শাক। কেননা শীতকালীন এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফাইবার।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, এক কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করে। পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ ’ও ‘কে’-তে ভরপুর পালং শাক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন ‘সি’, ভিটামিন ‘ই’, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।
পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণও অনেক। কাজেই যত ইচ্ছা খান, ওজন বাড়ার চিন্তা নেই। আপনি কি জানেন, পালং শাকের ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার কমায়? শুধু তাই নয়, পালং শাক রক্তের শ্বেত কণিকার মাত্রা ঠিক রাখে। এটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। পালং শাক ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
এছাড়া পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে এবং চোখে ছানি পড়া থেকে মুক্তি দেয়। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। কিন্তু আপনি যদি সহজে ত্বকের যত্ন নিতে চান, তবে শীতে পালং শাক নিয়মিত খেতে পারেন। এটি ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। হাত পায়ের জয়েন্টের ব্যথাও নিরাময় হয়।
পালং শাক চোখের জ্যোতি বাড়াতে কাজ করতে পারে। মুখের লাবণ্যও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রান্না করা পালং শাক ছাড়াও এ পাতার পেস্টও দারুণ কাজে আসে। যেমন পোড়া স্থান, ঘা, ক্ষতস্থান, ব্রণ বা কোথাও কালশিরা পড়লে টাটকা পালং পাতার রস বা এর পেস্ট প্রলেপ হিসেবে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
thebgbd.com/NIT